রংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে একে ৬টি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মিঠাপুকুরের রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে গড়ের মাথা মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বড়দরগাহ হাইওয়ে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এসব পরিবহন রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের মিঠাপুকুর গড়ের মাথা মোড়ে কুয়াশার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় চতুর্মুখী এ মোড়ে চারটি বাস, দুটি ট্রাক ও পিকআপ এবং কাভার্ডভ্যান একে অপরকে ধাক্কা দেয়। এতে কয়েকটি পরিবহনের সামনের গ্লাস ভেঙে গেছে এবং বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর জখম হওয়ায় তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পরিবহনগুলো সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করে।বর্তমানে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিন বালু ও মাটিবাহী ট্রাক চলাচল করে থাকে। ঘটনাস্থলে মাটি পড়ে সড়কটি ঘন কুয়াশায় পিচ্ছিল হয়েছিল। একই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসায় হয়তো চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে একে ধাক্কা দেয়।গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চালক ও যাত্রী সাধারণকে ধীরে এবং সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।এর আগে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পীরগঞ্জসহ জেলার কয়েকটি স্থানে পৃথক পাঁচটি দুর্ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।সড়ক ও মহাসড়কে মৃত্যু ঝুঁকিসহ দুর্ঘটনা এড়াতে চলাচলের সময় গতি নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিওয়নের সুপার মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম।